প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবাসী স্কিম সম্পর্কে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করতে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় কুয়েতের মিসিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আশিকুজ্জামান।

রাষ্ট্রদূত প্রবাসী স্কিমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন। এছাড়া সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রবাসী স্কিম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মুরশেদ, প্রতিরক্ষা এট্যাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাসান-উজ-জামান মিনিস্টার (শ্রম) এবং চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. ইকবাল আখতারসহ কুয়েতে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি ও সংবাদকর্মীরা।

সভায় জানানো হয়, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি রেজিস্ট্রেশন ও ম্যানেজমেন্টের জন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেটি হচ্ছে— www.upension.gov.bd। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব শ্রেণি পেশার বাংলাদেশি নাগরিক এই স্কিমে অংশ নিতে পারবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অংশ হতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র আবশ্যক। তবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট দিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে তার কপি জমা দিতে হবে।

রেজিস্ট্রেশনে কী কী লাগবে

জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংকের শাখা, রাউটিং নম্বর, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ বা পাসপোর্ট নম্বর, নমিনির মোবাইল নম্বর ও বার্ষিক আয়(স্টেটমেন্ট)।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মাসিক চাঁদার হার ধরা হয়েছে ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা। তবে ব্যক্তি চাইলে এই চাঁদার সমপরিমাণ অর্থ তিনি যে দেশে আছেন সেই দেশের মুদ্রায় দিতে পারবেন। আবার দেশে এসে দেশীয় মুদ্রাতেও কিস্তি দিতে পারবেন।

এমজে