কৈলাস থেকে মা দুর্গা আসছে মর্তে। বাঙালি হিন্দুর হৃদয়কে প্রসারিত করে সকল ধর্মের-বর্ণের, দেশের মানুষকে আপন করে নিতে শিখিয়ে সর্বজনীন দুর্গোৎস আজ বিশ্বজনীন উৎসবেও পরিণত হয়েছে।

কানাডার সাস্কাটুনে বসবাসরত বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে অক্টোবরের ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ (শনিবার, রবিবার ও সোমবার) উদযাপন করেছেন শারদীয় দুর্গাপূজা। 

সাস্কাটুন সর্বজনীন পূজা পরিষদ প্রতিবারের মত এই সর্বজনীণ বা বারোয়ারি পূজার আয়োজন করে। "বারোয়ারি" শব্দটির উৎপত্তি বারো (১২) এবং ইয়ার (বন্ধু) শব্দদুটি থেকে। 

১৭৯০ সালের এমনি এক শরতের বিকালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় ১২ বন্ধু মিলে যে পূজার সূচনা করেছিল কালের পরিক্রমায় কানাডার সাস্কাটুনে এসেও হানা দিয়েছে। বাঙালি যেখানে জোট বাঁধবে সেখানে পূজা হবেই। 

সাস্কাটুনের কনফেডারেশন ইন হোটেলের বিশাল হলে তিন দিন ব্যাপী এই পূজায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পূজার্চনা, পুষ্পাঞ্জলি ছাড়াও গান, নাচ, ফ্যাশন শো, নাটক ও ধামাইল চলে দেশিও আমেজে। পূজার ৩য় দিনে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে শেষ হয় দুর্গাপূজা। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল শিশু থেকে সকল বয়সের প্রবাসীর পদচারণায় মুখরিত। রিপন তালুকদারের নির্দেশনায় 'মহিষাসুর মর্দিনী' মাধ্যমে সবাইকে মুগ্ধ করেছে ঠিক তেমনি নিবেদিতা দত্তের নির্দেশনায় বাংলার জনপ্রিয় গানের সঙ্গে ফ্যাশন শো উপস্থিত দর্শকবৃন্দ মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছে। তাছাড়া লিন্তার নির্দেশনায় শিশু শিল্পীদের নিয়ে "নবদূর্গা মহিষাসুর মর্দিনী" অনুষ্ঠানে অন্যমাত্রা নিয়ে আসে। 

পূজার শেষ দিনে সাস্কাটুন সর্বজনীন পূজা পরিষদের সভাপতি ওলক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অমৃতা শর্মা উপস্থিত সকলকে অনুষ্ঠান সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান আর সকল স্পন্সর ও স্বেচ্ছাসেবককে কৃতজ্ঞতা আর লক্ষ্মীপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।

এমএসএ