কানাডার ক্যালগেরির ‘আমরা সবাই’ এর গত তিন দিনের বিশাল আয়োজনের দুর্গোৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ শুধু বাঙালি সংস্কৃতির ধারাকেই তুলে ধরেনি, সৃষ্টি করেছে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সেতুবন্ধন। বাড়তি যোগ হয়েছে বিদেশিদের অংশগ্রহণ। প্রবাসের মাটিতে এটুকুও বা কম কীসের! মানুষের ভালোবাসায় ঠাঁই পেয়েছে তাদের এই আয়োজন।

আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর কানাডার ক্যালগেরির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আন্তরিক আতিথেয়তা, সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক আবহে ‘আমরা সবাই’ এর দুর্গোৎসব তারই চিত্র তুলে ধরেছে। এক ঝলকে প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে গেল চিরচেনা বাংলাদেশের সেই উৎসবের আলোকছটায়!

প্রবাসের মাটিতে আবেগি মানুষের মন দেশে স্বজনদের কাছে পড়ে থাকলেও পাড়ার মন্দিরে মন্দিরে আয়োজিত সেই পূজার মিল ব্যতিক্রম ছিল না এখানেও। প্রবাসীদের দুর্গাপূজা মানেই বিশাল হলরুম ভাড়া আর অবিকল দেশীয় রীতিনীতির চর্চা। পরিবার-পরিজন বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা আর বাঙালির চিরাচরিত আড্ডাতেই যেন ফুটে ওঠে একখণ্ড বাংলাদেশ।

আমন্ত্রিত অতিথিরা জানান, এখানে আসতে তাদের ভালো লাগে কারণ, শৈশবের ‘বাড়ির পূজা’র অনুভূতিটুকু তারা এই উৎসবে ফিরে পান। দেশীয় সংস্কৃতিকে হদয়ে ধারণ করে গানবাজনা, মিষ্টি মধুর খানাপিনার সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে পান দেশীয় আড্ডা।

অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পত্রিকা ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’।

‘আমরা সবাই’ এর প্রেসিডেন্ট রুপক দত্ত বলেন, ভ্রাতৃত্বের নিবিড় বন্ধনে আমরা আমাদের দেশ, মাটি ও পতাকাকে বিশ্বের দরবারে সগৌরবে তুলে ধরতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই আনন্দ উৎসবের ধারাকে মনে প্রাণে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই আমাদের এই উৎসবের সার্থকতা।

‘আমরা সবাই’ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়ন্ত বসু বলেন, এই দিনটির জন্য সারা বছরের প্রতীক্ষা পরিকল্পনা আর পরিশ্রম, সবই যেন ম্লান হয়ে যায় সবার উপস্থিতিতে। বিদেশের মাটিতে আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে নিজস্ব সংস্কৃতির বলয়ে গড়ে তুলতেই আমাদের এই প্রয়াস।

ভালোবাসা আর বাঙালির প্রাণের স্পন্দনে সম্প্রীতির বন্ধন যেন হয় সবার মঙ্গল কামনায়, এমনটাই ‘আমরা সবাই’ এর প্রত্যাশা।

এসএসএইচ