দুটি পাতার একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট। চায়ের সঙ্গে এভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সিলেট অঞ্চলের নাম। সিলেট বিভাগে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা হিসেবে পরিচিত জাফলং। যার খ্যাতি রয়েছে দেশবিদেশে।

নয়নাভিরাম এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। তেমনই একজন গ্রিসের মানবাধিকার ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ভাসিলিস কেরাসিওটি। এই আইনজীবী গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সব আইনি কার্যক্রম ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের আইনি সহায়তা দেন। তিনি বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে প্রেমে পড়েন সিলেটের।

তিনি সিলেটের জাফলং, শ্রীমঙ্গল ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করে মুগ্ধ হন, প্রেমে পড়েন শীতল প্রকৃতির এই লীলাভূমিতে। গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সিলেট ভ্রমণে আসেন এই গ্রিক পর্যটক। তাকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে স্বাগত জানান গ্রিস প্রবাসী সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্না, গ্রিসে বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক এম এ মুহিত, সাংবাদিক ছনি চৌধুরী, মোহাম্মদ শিহাব।

প্রথম দিনেই ভাসিলিস ঘুরে দেখেন সিলেটে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রকৃতিকন্যা জাফলং, যা এক অপার সৌন্দর্যের আধার। সিলেটের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক শোভা অতি সহজে মুগ্ধ করে এই বিদেশি নাগরিককে। তিনি সারা দিন আনন্দে উপভোগ করেন সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এসময় তিনি বাংলায় বলেন, ‘আমি ভালোবাসি বাংলাদেশ, আমি ভালোবাসি সিলেট’।

জাফলং প্রবেশকালেই স্বাগত জানায় জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ। জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি শেখ রতন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে ঘুরে দেখান জাফলং।

রোববার সারাদিন এই পর্যটক ঘুরে দেখেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা। এদিকে সিলেট অঞ্চলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা। বিস্ময়কর ও আকর্ষণীয় এ চায়ের খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্টারনেটে তথ্য দেখে সাত রঙের চা পানের আগ্রহ জানান ভাসিলিস। পরে বিখ্যাত এ চায়ের স্বাদ নিতে ছুটে যান শ্রীমঙ্গল উপজেলার আদী নীলকণ্ঠ চা কেবিনে। সেখানের চা বাগান, বিভিন্ন রিসোর্টসহ বিভিন্ন পর্যটন স্থান ঘুরে দেখেন। সিলেট ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

এসএসএইচ