স্ত্রী সুমি আক্তার লাকী, ইনসেটে প্রয়াত লিয়াকত ও দুই সন্তান

গাজীপুরের লিয়াকত। জীবিকার তাগিদে পাড়ি দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। দীর্ঘ ৮ বছর বৈধ অবস্থায় সেখানে ছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ইপু জেলা হাসপাতালে। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান ফুসফুসে পানি জমেছে। শেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিয়াকত।

লিয়াকত আলীর মৃত্যুর পর হাসপাতালে ১৩ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় তিন লাখ ২৬ হাজার টাকা) বকেয়া ছিল। হাসপাতালের বিল এবং মরদেহ পাঠানোর খরচসহ প্রায় তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়, যা পরিবারের পক্ষে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

এসময় দূতাবাস থেকে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালের বিল ও মরদেহ পাঠানোর খরচ দিতে অস্বীকার করে। ফলে মরদেহ দীর্ঘ সময় হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে থাকে। অবশেষে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর জহিরুল ইসলামের একান্ত প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ সরকারি খরচে ১৩ মার্চ বাংলাদেশে আসে লিয়াকত আলীর মরদেহ।  

মারা যাওয়ার ৫৫ দিন পর দূতাবাসের সহায়তায় সরকারি খরচে লিয়াকতের মরদেহ দেশে পৌঁছায়। আরও তিন দিন পর মরদেহ বুঝে পায় পরিবার। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। একমাত্র উপার্জনক্ষম লিয়াকতের মৃত্যুর পর পরিবার অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে পড়ে।

পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ছাড়াও দুই সন্তান রয়েছে। এখন অর্থের যোগান নেই তাদের। স্ত্রী এখন সন্তানদের নিয়ে অভাব-অনটনে দিন পার করছেন। লিয়াকতের স্ত্রী সুমি আক্তার লাকী বলছেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে তিন লাখ টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে। এ অনুদান পেলে সন্তানদের নিয়ে কিছুটা হলেও স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবেন।

আরএইচ