ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ভু ভান থুওংয়ের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রেজেন্টেশন অব ক্রেডেনশিয়াল অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ মোট তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন। এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাষ্ট্রদূত।

ওই বিকেলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের বিশেষ গাড়িতে মোটর শোভাযাত্রাসহ বাংলাদেশ হাউস থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত প্রথমে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাখা বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত শুভেচ্ছা বিনিময় ও নিজের পরিচয় জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দেওয়া পরিচয়পত্র ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, উভয় দেশের সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর আয়োজনে গুরুত্ব প্রদান এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান।

এ ছাড়া তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের মর্যাদায় আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে ভিয়েতনামের সমর্থন কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এ কালজয়ী পররাষ্ট্রনীতি ও বর্তমান সরকারের অনুসৃত সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি-নীতির আলোকে বাংলাদেশ আসিয়ানের সব সদস্যের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কামনা করে।

তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনে ভিয়েতনামের সমর্থন প্রত্যাশা করেন।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ভিয়েতনামে দায়িত্ব পালনের সময় রাষ্ট্রদূত পূর্ণ সমর্থন, উৎসাহ এবং সাহায্য পাবেন বলে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি আশ্বাস দেন।

এসএসএইচ