টরন্টোতে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটক ‘এক জোড়া জুতো’
কানাডার টরেন্টোতে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে টরন্টো থিয়েটার ফোকস প্রযোজিত নাটক ‘এক জোড়া জুতো’।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় টরোন্টোর ফেয়ারভিউ লাইব্রেরী থিয়েটার হলে নাটকটি মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন ইমামুল হক।
বিজ্ঞাপন
‘এক জোড়া জুতো’ বাস্তব কিছু ঘটনার নান্দনিক উপস্থাপনায় তারা তাদের নিজস্ব ভাবনাকেই দর্শকের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন। এই নাটকের শরীর জুড়ে কুশীলবরা এক জোড়া জুতো খুঁজে বেড়ান। এই খোঁজার মধ্যদিয়ে তারা তাদের অতীত বর্তমান এবং অনাগত ভবিষ্যতকেই খুঁজতে থাকেন!
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
নাটক শেষে দর্শকরাও এই খোঁজায় সামিল হবেন, এটাই তাদের বিশ্বাস! প্রবাসে নাট্যচর্চার এমন উদ্যোগের সঙ্গে এই সময়ের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় বাংলাদেশি নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্য নির্দেশক মাসুম রেজা যুক্ত হয়েছেন নাটকটির রচনার সঙ্গে। তবে মূল নাটক লিখেছেন স্বনামধন্য কবি ও নাট্যকার মেহরাব রহমান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ইমামুল হক। আবহ সঙ্গীতের সঙ্গত দিয়েছেন বিশিষ্ট কম্পোজার আশিকুজ্জামান টুলু ও নেপথ্যের কাজ সামলেছেন নয়ন হাফিজসহ আরও অনেকে। উপদেষ্টা নির্দেশক হিসেবে নাটকটির নির্মাণে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় রেখেছেন বিশিষ্ট নাট্যজন মাহমুদুল ইসলাম সেলিম!
প্রবাসে নাটক মঞ্চায়ন খুবই চ্যালেঞ্জের বিষয়। একদিকে ভালো পাণ্ডুলিপি আর নিবেদিতপ্রাণ নাট্যকর্মী আর অন্য দিকে দর্শক আর পৃষ্ঠপোষক না থাকলে থিয়েটারের নানান চমকপ্রদ কাজও ম্লান হয়ে যায়। নাটকের একটি মূল উপাদান দর্শক। নাটক মঞ্চায়নে নানান কৌশলের লক্ষ্য একটাই- দর্শকের কাছে যেন তা উপভোগ্য হয়! তাদের মনে নতুন ভাবনার সৃষ্টি হয়। তাই নাটকের থিমের সঙ্গে যদি দর্শকের নাড়ির যোগ থাকে-তবে কাজটা বেশ সহজ হয়ে যায়৷
নাটকটির মূল থিম নির্দেশকের ব্যক্তি জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে! নাটক সম্পর্কে বলতে গিয়ে নির্দেশক ইমামুল হক বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনেই উত্থান পতন আছে! সময়ে তা যেমন তা প্রকট হয়ে দেখা দেয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আবার তা থিতিয়েও যায়! তবে এমন কিছু ঘটনা থেকে যায়, যা কারোর সঙ্গে কখনোই পুরোপরি ভাগ করে নেওয়া যায় না, অথচ সারা জীবন এর ভার অথবা এর যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়! এমনি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাটক 'এক জোড়া জুতো'র কাহিনী আবর্তীত হয়েছে!"
তিনি আরও বলেন, "বাস্তব উপজীব্য হলেও এটি একটি 'সুররিয়ালিস্টিক অ্যাবসার্ড ড্রামা!' তাই নাটক দর্শনে দর্শক যেমন বিনোদন পাবেন, তেমনি তাঁদের মনে ভাবনারও সঞ্চার হবে৷"
এমএসএ