লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে দূতাবাসের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্যায়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার দূতাবাস প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অর্ধনমিত করেন। এরপর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের করতে সব স্তরের প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের কার্যকরী পরিষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী, বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্লাব এবং উপস্থিত প্রবাসীদের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে দিবসটির প্রেক্ষাপট ও মাতৃভাষার জন্য বাঙালির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ তুলে ধরে চিত্র ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ লিবিয়ার সরকারের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং লিবিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আইওএম এবং আইসিআরসি লিবিয়ার মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে চিত্র ও বই প্রদর্শনী ঘুরে দেখান। প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা মাতৃভাষার জন্য বাঙালির সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও বিসর্জন দেখে অভিভূত হন। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উপস্থিত অতিথিরা নির্ধারিত বোর্ডে নিজ নিজ মাতৃভাষায় বার্তা লিখে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। এরপর তারা দূতাবাসে স্থাপিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও প্রদর্শনীতে ত্রিপলিতে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরের প্রবাসীরা সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে দূতাবাসের হলরুমে আলোচনা সভা হয়। এতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও বাংলাদেশ কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য দেন।

এনআই/এসএসএইচ