যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ভারতে উদযাপন হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ভারতে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন, কলকাতার উপ হাইকমিশন এবং আগরতলা ও গৌহাটিতে অবস্থিত অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনে একযোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাই কমিশনার রহমান দিবসটি উপলক্ষ্যে তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে উচ্চারিত এই ভাষণের শব্দমালাকে প্রতিটি বাঙালি তার অন্তরে ধারণ করে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণকে সার্বজনীন উল্লেখ করে হাই কমিশনার আরও বলেন, বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত ও বঞ্চিত প্রতিটি মানুষের জন্য এটি প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। 

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সব পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং স্বাগতিক দেশের আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এমএ