কানাডায় নামবে না ভারত-পাকিস্তানের ফ্লাইট
কানাডায় যেন অন্য দেশ থেকে করোনায় নতুন ধরন আসতে না পারে সেজন্য কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজ থেকে ভারত ও পাকিস্তানের যাত্রীদের সব ধরনের ফ্লাইটের কানাডায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কমপক্ষে ৩০ দিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম কানাডিয়ান প্রেস জানিয়েছে, দেশ দুটিতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অস্বাভাবিক হওয়ায় ফেডারেল সরকার পরবর্তী এক মাসের জন্য ভারত ও পাকিস্তান থেকে আগত যাত্রীদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘব্রা বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে কানাডায় আসা বিমানের যাত্রীদের বেশিরভাগের মধ্যে করোনা শনাক্ত হওয়ায় ট্রান্সপোর্ট কানাডা সেসব দেশ থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করার জন্য এয়ারম্যানকে বা নোটমকে নোটিশ দেয়। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশ থেকে সব বাণিজ্যিক এবং যাত্রীবাহী বিমান নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ভ্যাকসিন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের চালান অব্যাহত রাখার জন্য কার্গো ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ১৪ হাজার নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার রেকর্ড গড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এই ঘোষণা দেয় কানাডা সরকার।
বিজ্ঞাপন
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, করোনাকালের শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডোর সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনার নতুন নতুন ধরনের ব্যাপক উপস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বিমান যোগাযোগের ঘোষণাটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আর ভ্যাকসিন প্রদানের গতিকে আরও দ্রুততর না করা অবধি জনমনে শঙ্কা দূর করতে এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে এগোনো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পও দৃশ্যমান নয়।
কানাডায় গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যে। তারপর থেকেই দেশটির সরকার দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেই ভারত ও পাকিস্তানের সাথে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮৭ জন। করোনায় মারা গেছেন ২৩ হাজার ৮৮৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪৮ জন।
এসএসএইচ