রাজবাড়ী জেলার প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সানাউল্লাহর প্রথম মৃত্যবাষিকী আজ (১৪ মার্চ)। এ উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীর বড় মসজিদ এবং পাওয়ার হাউস মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া এবং মরহুমের নিজ বাসভবন বিনোদপুরে মিলাদ মাহফিল ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ গত বছরের ১৪ মার্চ ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রাজবাড়ী ভবানীপুর গোরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ পাকিস্তান আমলে ‘পাক যমহুরিয়াত’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এরপর দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তিনি দৈনিক পূর্বপাকিস্তান পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে তিনি ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকার মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। এরপর দৈনিক বাংলা, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সমকাল, বিডি নিউজ ২৪ ও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত বছর ৩০ মে তৃণমূলে সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে গুণী সাংবাদিক হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। 

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ রাজবাড়ী জেলার রেড ক্রিসেন্ট, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। 

মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ছাত্রজীবনে গণঅভ্যুত্থান, ছয় দফা ও অসহযোগ আন্দোলনসহ ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিকনির্দেশনায় নিয়ে দেশের প্রয়োজনে সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। 

মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য মরহুমের পরিবার সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

মরহুম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ/কেএ