‘বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে’

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। তার মহান নীতি ও আদর্শে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত ও গড়ে তুলতে হবে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধে এবং বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে উজ্জীবিত করে গড়ে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশি মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানাই।

রোববার (১৭ মার্চ) লন্ডনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাবিবুর রহমান হাবিব জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিনি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

এসময় শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম মমতার কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ অনুসরণে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে এবং আজকের শিশুদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।

হাইকমিশনার ব্রিটিশ এবং নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আদর্শ ও মুল্যবোধ তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের বিগত পাঁচ বছরে গৃহীত বিশেষ বিশেষ উদ্যোগ, পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ও মানবিকতার মূল্যবোধের আদর্শে গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে অনেক ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোর বিপুল উৎসাহে অংশগ্রহণ করে। হাইকমিশনার শিশু-কিশোরদের সনদ প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে সম্মিলিত কবিতা আবৃতি করেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী ঊর্মি মাজহার, শতরূপা চৌধুরী ও দেওয়ান মাহমুদ। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে একটি গান এবং পবিত্র রমজানে ইফতারের আগে হামদ ও নাত পরিবেশন করে।

ইফতারের পর হাইকমিশনার অতিথি ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পিএইচ