বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব এম এ মালেক বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি, চিন্তাবোধকে ধ্বংস করেছে। এই আওয়ামী লীগ আবারও ৭ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচন করেছে। জনগণের সাথে থেকে এ দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

তিনি গতকাল হোয়াইট চ্যাপেল সেন্টারে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবিদার আওয়ামী লীগ। ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। নতুন প্রজন্ম এ ইতিহাস জানে না। তা তারা মুছে ফেলেছে। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টা বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক রাকেশ রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্র আর কাজে বাকশালী চেতনা। ১৯৭৫ সালে একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিল। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এই আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমত সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মওলানা ভাসানীকে সন্ত্রাসী কায়দায় দল থেকে বের করে দিয়েছিল। এরা সন্ত্রাসী দল। এ সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা মনে করে এ দেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। জনগণকে তারা প্রজা মনে করে। জনগণও তাদের প্রত্যাখান করেছে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব লেখক ও সাংবাদিক রাকেশ রহমান। পরিচালনায় ছিলেন ইউকে কমিটির আহ্বায়ক মো. তবারক হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, স্কোয়াড্রনলিডার (অব.) ওয়াহিদুন্নবী, ওলামা দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা শামিম আহমেদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য শফিকুল ইসলাম রিবলু, যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, এম আরিফ হোসেন, মহিলা দলের নেত্রী অঞ্জনা আলম, নাসরিন আক্তার, তাসনিমা তাজ, শারমিন সুলতানা ,মারুফ গিয়াস বাপ্পি, গিয়াস উদ্দিন, সিলেট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দ শাহ জামাল, আইটি বিষেশষ্ণ রাজ মাসুদ ফরহাদ, রোকন উদ্দিন, সাংবাদিক এনাম আহমেদ, মাহবুবুর রহমান ও তারেক হোসেন প্রমুখ।

এনএফ