মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের নতুন নতুন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ছুটি কাটাতে দেশে আসতে এয়ারপোর্টে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টিনের বুকিং দেখাতে না পারায় মিলছে না বোর্ডিং পাস। পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে দেশে আসতে চাইলেও নিয়মের বেড়াজালের কারণে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে যাচ্ছেন অনেক কাতার প্রবাসী।

করোনা প্রতিরোধে সরকার বিদেশ ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জারি করেছে কঠোর বিধিনিষেধ। নতুন প্রজ্ঞাপনে করোনার টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের জন্য তিনদিন প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টাইন এবং টিকা না দেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা করেছে সরকার।

আগের প্রজ্ঞাপনে দুই ডোজ টিকা নিলে প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টাইন লাগবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের ছুটি কাটাতে অনেকেই বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু নতুন বিধিনিষেধের কারণে কাতার এয়ারপোর্টে গিয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেক প্রবাসীকে।

প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টিনের বুকিং দেখাতে না পারায় মিলছে না বোর্ডিং পাস। ফলে দেশে যেতে না পেরে হতাশ প্রবাসীরা। তারা বলেন, বিমানবন্দরে যাওয়ার পর জানলাম হোটেল বুকিং করতে হবে। এগুলো আমরা আগে থেকে জানতাম না। দেশে যেতে পারব এই আসায় টিকেট কেটে বিমানবন্দরে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের কাছে কোয়ারেন্টাইন বাতিলের দাবি জানান তারা।

কাতার জিসিসি হোলিডেস জেনারেল ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আগাম নোটিশ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের নতুন প্রজ্ঞাপনের কারণে অনেক প্রবাসী আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অনেকে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত এসেছেন। প্রবাসীরা ছুটিতে না যেতে পারায় ট্রাভেল-ট্যুরিজম ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিই কম বেতনে কাজ করেন। তাদের পক্ষে দেশে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে নিজ খরচে থাকা অনেকটা অসম্ভব। আর তাই অন্তত মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাতিলের দাবি জানান প্রবাসীরা।

এমএইচএস