দক্ষিণ আফ্রিকায় আরমান মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ মে) রাতে তার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ।

আরমান মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার সোহরাব মিয়ার ছেলে। আরমান জোহানেসবার্গের আলবার্টনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে চাকরি করতেন।

প্রবাসীরা জানান, আরমান মিয়ার সঙ্গে তার এলাকার এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ওই নারী আরমানের থেকে বয়সে বড় হওয়ায় পরিবার মেনে নিচ্ছিল না। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। এ হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছে আরমানের পরিবার। আরমান মিয়ার বাবা সোহরাব মিয়া বলেন, আমার ১০ ছেলে-মেয়ের মধ্যে আরমান সবার ছোট। সে ২০১৯ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার পর বাবু নামে এক দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের দোকানে চাকরি করত সে। দুই মাস আগে বাবু আরমানকে অন্য এক বাংলাদেশির দোকানে চাকরি দেয়। সম্প্রতি বাবু আরমানকে তার দোকানে ফিরে আসতে বললে সে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। গতকালও সে দেশে টাকা পাঠিয়ে বলেছে চোখের অপারেশন করে ফেলতে। এরই মধ্যেই সে কীভাবে আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না। 

প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আমার নাতির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি। 

কমিউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরমান মিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ থাকায় মরদেহ দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় তাকে দাফন করা হবে।

এসকেডি/জেএস