মারতিম মুনিজ পার্কে ঈদের জামাত

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এদিন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ জামাতের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তবে গত দুবছর ধরে মহামারি থাকায় ঈদের জামাত কিছুটা সীমিত হয়ে এসেছে। 

এবারের ঈদে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মারতিম মুনিজ পার্কে বড় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জামাতে কয়েক হাজার বাংলাদেশি অংশ নেন। সকাল ৮ টায় শুরু হয় ঈদের জামাত।

এই জামাতে শুধু যে বাংলাদেশি প্রবাসীরা ছিলেন না, এতে অংশ নেন স্থানীয় পর্তুগিজ মুসলিমসহ ৩০-৩৫ দেশের মুসলিম প্রবাসীরা। এক হিসেবে দেখা গেছে মারতিম মুনিজ পার্কের ঈদের জামাতে প্রায় ৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেন। 

মহামারি সত্ত্বেও এমন আমেজে নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি মুসল্লিরা। লিসবনের বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রেসিডেন্ট রানা তাসলিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহামারির প্রেক্ষাপটেও এত বড় একটি ঈদ জামাত আয়োজন আমাদের জন্য একতি চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা পর্তুগিজ পৌরসভা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, শান্তিপূর্ণভাবে আমরা ইদুল ফিতরের নামাজ আদায় করব।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করতে পেরেছি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মুসলিমদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।

এত বড় পরিসরে মহামারির মাঝে এই আয়োজনের জন্য স্থানীয় পৌরসভা শান্তা মারিয়া মাইয়র এবং সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মারতিম‌ মুনিজ জামে মসজিদের সেক্রেটারি সাজিদ মোহাম্মদ। 

জামাতের শুরুতে বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের ইমাম ও উক্ত জামাতের ইমাম অধ্যাপক মাওলানা মো. আবু সাঈদ কোরআন হাদিসের আলোকে ঈদুল ফিতর নামাজের তাৎপর্য এবং পবিত্র মাহে রমজানের মহিমা সবার উদ্দেশে তুলে ধরেন। শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করার জন্য মুসল্লিদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

এদিকে লিসবন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫ এবং সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে দুটি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পর্তুতে হযরত হামজা (রা.) মসজিদে সকাল ৮টা এবং সকাল ৯টায় দুটি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, কেন্দ্রীয় হযরত বেলাল (র.) মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫ এবং সকাল ৮টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরএইচ