পর্তুগালে জেনারেল কনফেডারেশন অফ দ্য পর্তুগিজ ওয়ার্কার (সিজিটিপি), পর্তুগিজ কমিউনিস্ট পার্টি (পিসিপি) ও ব্লক এস্কেরদাসহ (বিই- বাম ব্লক) আরও কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী লিসবন ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুতে সোমবার (১৭ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৬টায় কয়েক হাজার লোক এ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে বক্তারা ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা অবিলম্বে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের দখলকৃত ভূমি মুক্ত করে ফিলিস্তিনের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান করেন।

বাম ব্লকের প্রধান ক্যাটারিনা মারটিন্স বলেন, ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রাপ্তবয়স্ক ২০০ ফিলিস্তিনিসহ ৫০ জনের বেশি শিশু হত্যা করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের সংঘাত পৃথিবীতে নজিরবিহীন। 

তিনি আরও বলেন, এটি একটি অসম লড়াই। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর একটি দখলদারি শক্তি, ইসরায়েল কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি মানছে না। কোনো সীমান্ত চুক্তি মানছে না। তারা ফিলিস্তিনিদের হিংস্রভাবে উচ্ছেদ করে অবৈধ বসতি স্থাপন করছে যা বর্বরোচিত।

ক্যাটারিনা মারটিন্স বলেন, আমাদের অবস্থান ইসরায়েলের জনগণের বিপক্ষে নয় আমাদের অবস্থান ইসরায়েলি নেতৃত্বের বিপক্ষে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সেখানে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয় বরং এটি একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র।

সমাবেশে উপস্থিত প্রবীণ পর্তুগিজ নাগরিক দোনা মারিয়া বলেন, নির্বিচারে শিশু হত্যা দায় বিশ্বনেতাদের নিতে হবে। আমরা ইসরায়েলি আগ্রাসন মুক্ত ফিলিস্তিন চাই। আমি ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছি।

সমাবেশে পর্তুগিজ নাগরিক ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রবাসীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যানার ফেস্টুন ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে আবেগঘন স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন। সবাই ফিলিস্তিনি নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার পাশাপাশি এখনই গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। 

ওএফ