পর্তুগালের পর্যটন শহর আলগারভে সোমবার (১৭ মে) ১৭টি ফ্লাইটে কমপক্ষে সাড়ে পাঁচ হাজার পর্যটক এসেছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকটি বিমানে যুক্তরাজ্য থেকে এক হাজারেরও বেশি পর্যটক এসেছেন পর্তুগালের অন্যতম দ্বীপ মাদাইরাতে। বিমান সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য থেকেই প্রতিদিন পাঁচ হাজার পর্যটক আলগারভে আসবেন। ব্রিটিশ পর্যটক ছাড়াও ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের পর্যটকরাও পর্তুগালে আসতে শুরু করেছেন।

এ দিন রাজধানী লিসবনের এয়ারপোর্টের চিত্র ছিল ভিন্ন। করোনা মহামারির পর এই প্রথম দেশটির প্রধান বিমানবন্দর হামবেরতো ডেলগাটা এয়ারপোর্টে ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠেছে। বিমানের আগমন ও বহির্গমন দুটোই ছিল করোনাকালীন সময়ের চেয়ে বেশি।

ইউরোপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে পর্তুগাল অন্যতম। তাছাড়া বর্তমান মহামারির পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বিভিন্ন দেশ পর্তুগালকে নিরাপদ দেশ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। ফলে পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য পর্তুগালকে বেছে নিয়েছেন।

নিরাপদ গন্তব্য হলেও পর্যটকদের মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তাই ভ্রমণের আগে ট্যুরিজম এজেন্সি ও বিমান কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকালীন সময়ে পর্তুগালে বিধিনিষেধগুলো পর্যটকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে তার মধ্যে রয়েছে- মাস্ক পরিধান, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, উন্মুক্ত স্থানে অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গ্রহণ নিষিদ্ধ, রেস্টুরেন্ট রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা, এক‌ই টেবিলে সর্বোচ্চ ৬ জন ও বাইরে ১০ জন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাত ৯টায় এবং ছুটির দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হবে, ২ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে এবং বারবার হাত ধোয়া। এছাড়াও বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের আলাদা স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে।

পর্যটক আগমনের এই সংবাদ পর্তুগাল অর্থনীতির জন্য একটি সুখবর বলেই মনে করা হচ্ছে। করোনা মহামারির পর ভ্রমণ নিষিদ্ধ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রথম আঘাত আসে পর্যটন শিল্পে। ফলে পর্যটন অধ্যুষিত দেশ পর্তুগালের পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। 

ওএফ