আন্তোনিও লাসেরডা সালেস

পর্তুগালে করোনা টিকা কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য ৩০ ও ৪০ বছর বয়সী নাগরিকদের টিকাদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্তুগালের স্বাস্থ্য ও সহকারী স্টেট সেক্রেটারি আন্তোনিও লাসেরডা সালেস। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৬ জুন থেকে ৪০ ঊর্ধ্ব ও ২০ শে জুন থেকে ৩০ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী লিসবনকে প্রাধান্য দিয়ে পুরো দেশব্যাপী এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কেননা এ অঞ্চলে টিকা কার্যক্রম খুবই ধীর গতিতে চলছে। পর্তুগালের মূল ভূখণ্ডের অঞ্চলগুলোর মধ্যে লিসবন ই ভেল দো টেজো অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে মধ্যে ৩২ শতাংশ নাগরিক এক ডোজ ও ১৪ শতাংশ নাগরিক পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার হিসেবে এ অঞ্চলটি সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।

উচ্চ সংক্রমণের পরিস্থিতিতে করোনার লাগাম টেনে ধরতে রাজধানীতে টিকাদান কার্যক্রম গতিশীল করা, করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশদ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে জানান তিনি।

আন্তোনিও লাসেরডা সালেস বলেন, দেশব্যাপী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) থেকে ছাত্র-শিক্ষকসহ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময় পরপর করোনা পরীক্ষা হবে। শুক্রবার (২৮ মে) থেকে ডেলিভারি সার্ভিসের যুক্ত ব্যক্তি, ট্যাক্সি ও অ্যাপভিত্তিক পাবলিক যানবাহনের চালকদের জন্য বিভিন্ন সচেতনামূলক কাজ ও করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পর্তুগালে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৫১ লাখ ২৬ হাজার ৪১৮ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের চেয়েও বেশি। তবে এরইমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৮৮ জন ও পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন ১৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫ জন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে পর্তুগাল এ পর্যন্ত ৫৭ লাখ ২৮ হাজার ৪৭০ ডোজ করোনা টিকা গ্রহণ করেছে।

পর্তুগাল সরকার শুরু থেকেই করোনা সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেই চলছেে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হলেও বাস্তব পরিকল্পনা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে  দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য এক বাস্তবসম্মত বিশাল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ওএফ