ভ্রমণের চাহিদা বৃদ্ধির প্রত্যাশায় কর্মচারীদের পুনরায় ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার কানাডা। প্রায় ২ হাজার ৬০০ কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগদানের সুযোগ দিচ্ছে বিমান সংস্থাটি।

এয়ার কানাডা জানায়, আগামীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের চাহিদা বাড়তে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে এয়ার কানাডা। এরই অংশ হিসেবে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসহ বিভিন্ন বিভাগের ২ হাজার ৬০০ কর্মীকে পুনরায় কাজে ডাকা হবে। চলতি ও আগামী মাসে পর্যায়ক্রমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।

এয়ার কানাডার মুখপাত্র পিটার ফিৎজপ্যাট্রিক বলেন, বিমান সংস্থাগুলো শ্রমিকদের পুনরায় ডাকছে। কারণ বিপুল পরিমাণ জনগণকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তাই কমছে করোনা শনাক্তের হারও। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে। তাই আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জুন ও জুলাই মাসে আগের কর্মীদের পুনরায় কাজে ফেরানো হবে।

এর আগে গত মার্চে কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করে এয়ার কানাডা। লোকসান কাটিয়ে উঠতে গত এপ্রিলে এয়ারলাইন্স অটোয়ার সঙ্গে ৫.৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজের জন্য একটি চুক্তি করে বিমান সংস্থাটি।

অন্যদিকে ফ্লাইট প্যাকেজের রিফান্ডের সময়সীমা ১২ জুলাই পর্যন্ত ৩০ দিন বাড়ানো হয়েছে। রিফান্ড নীতিটি ১৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯২ % গ্রাহকের রিফান্ডের অনুরোধ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ৪০ শতাংশ গ্রাহককে রিফান্ড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারির করোনায় কানাডায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্স ব্যবসা। চাকরি হারিয়ে এ খাতের অনেক পেশাজীবী অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন।

এসকেডি