দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে দেশটিতে আঘাত করেছে বলে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

১৪ জুন (সোমবার) দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনে ৫৭  জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক মন্ত্রীসহ ৫৭ হাজার ৮২৪ জনে।চলতি বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্টের দফতরবিষয়ক মন্ত্রী জ্যাকসন মেথেম্বু করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৯৭৪ জন। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যেই দেশটিতে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৮৮ শতাংশ।

রোববার প্রেসিডেন্ট সিরিল রমাফোসা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে জনসনের দুই মিলিয়ন ডোজ দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছাবে।  সবাইকে সর্তক হয়ে চলাচলের আহ্বান জানান তিনি।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাভেলি এমকিজের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তাকে বর্তমানে বিশেষ ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

ছুটিতে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার লকডাউন বিধিনিষেধগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছে। যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি।

এদিকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের ঘটনা ঘটছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান সংস্থা ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। করোনার নতুন রূপ মহামারি আকার ধারণ করলে দেশটির অর্থনীতি আবার মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটিতে করোনার প্রথম থেকেই জোহানেসবার্গ এলাকায় সংক্রামণে ঝুঁকি অন্য শহরগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি।

ওএফ