মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিলেই নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২) জেনাথন ইয়াসিন শনিবার (১৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

এ বছর সাবাহ ইমিগ্রেশন বিভাগ ৬০১টি অভিযান চালিয়েছে। যার মাধ্যমে ৩৪ জন নিয়োগকারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এক হাজার ৬১ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এক হাজার ৭৩৯ জনকে তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।

বিবৃতিতে জেনাথন ইয়াসিন বলেন, যৌথ অভিযানে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ ও সুরক্ষা দেওয়ায় অভিযুক্ত নিয়োগকারীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসীদের দেশে (মালয়েশিয়া) আনার সিন্ডিকেটগুলোকেও চিহ্নিত করতে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোনো আপস ছাড়াই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক (প্রয়োগকারী) রোমেল মোকোকো রোডলফো সম্প্রতি ৬৭ ইমিগ্রেশন অফিসার, ২৭ জন পিপলস ভলান্টিয়ার কর্পস (রেলা) এবং সিভিল ডিফেন্সের চার জন কর্মী নিয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন। শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের অভিযানে ১৭৩ জন নিয়োগকর্তার মধ্যে ৬৫ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।

পাসপোর্ট বা অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৩ এর অধীনে বেশ কয়েকজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের আটককেন্দ্রে পাঠানোর আগে করোনা পরীক্ষাসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে সাবাহে অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা না দেওয়ার জন্য এবং অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে অবৈধ অভিবাসীদের তথ্য দিতে সাবাহ’র জনগণকে অনুরোধ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসএসএইচ