ছয় দিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ১৪শ এটিএম বুথ, ৩০০ ব্যাংকের শাখা এবং পোস্ট অফিসের আউটলেট ব্যাপক লুটপাটের শিকার হয়েছে।

ভাঙচুর হয়েছে হাজার হাজার অটোমেটিক টেলার মেশিন (এটিএম)। যা মেরামত করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর এ কারণে আনুমানিক এক কোটি ১৫ লাখ গ্রাহক সরাসরি নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন না।

শুধু তাই নয়, বিক্ষোভ-সহিংসতার সময় এসব বুথ থেকে কোটি কোটি রেন্ড (স্থানীয় মুদ্রা) লুট করা হয়েছে। যা দেশটির চলমান অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (এসএ বাসা) জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শনিবার থেকে গৌতেং ও কোয়াজুলু-নাটালে ১ হাজার ৪০০টি এটিএম বুথ এবং প্রায় ৩০০ ব্যাংকের শাখা এবং পোস্ট অফিসগুলোতে ভাঙচুর করে রেন্ড লুট করা হয়েছে। এ সময় কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এ সময় ১৩শ ব্যাংকের শাখা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

এসএ বাসা জানিয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষের কাছে হিসাব চেয়েছে। আর লুণ্ঠন হওয়া রেন্ড বাজারে ব্যবহারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব নোট ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, এটিএমগুলোতে ক্যাশ সংরক্ষণের জন্য এক ধরনের কেমিক্যাল থাকে যা ডাই-দাগ প্রযুক্তি দিয়ে নোটগুলোকে সুরক্ষা দেয়। যদি কেউ অবৈধ উপায়ে এটিএম বক্স খোলার চেষ্টা করেন তখন এটি সক্রিয় হয়। একবার সক্রিয় হয়ে গেলে, নোটে সবুজ রঙের দাগ যুক্ত হয়। ফলে নোটগুলো অকার্যকর মুদ্রা হিসাবে গণ্য হয়ে যায়। আর নোটগুলো মূল্যহীন হয়ে যায়।

এছাড়া নোটগুলোর বাহককে গ্রেফতার করে ফৌজদারি আইনের আওতায় আনার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাহক বুথে লুটের সঙ্গে জড়িত কি না এবং কোন উপায়ে নোটগুলো ওই ব্যক্তির হাতে এসেছে তা নির্ধারণ করার জন্য বাহককে অবশ্যই তদন্তের মুখোমুখি করা হবে।

জেডএস