সিউলের গাংহুয়ামুন প্লাজা পার্কের ঝর্ণার পানিতে ভিজে নিজেকে শীতল করছেন এক যুবক

গত সপ্তাহ থেকে রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা ও তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ দক্ষিণ কোরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। জেজু দো, বুসান, সিউল থেকে শুরু করে খিয়ংগিদোর অঞ্চলগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ।

সোমবার দেশটির আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পুরো দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরম, বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে কোরিয়াতে প্রচণ্ড গরম পড়তে দেখা যায়। গরমের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুও হয়। ২০১৬ সালে ১৭ জন, ২০১৭ সালে ৪০ জন, ২০১৮ সালে ২৯ জন, ২০১৯ সালে ৪২ জন হিট স্ট্রোকে মারা যান। প্রতি বছর গড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ গরমজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিকরা, যারা বাইরে কাজ করেন। মূলত তারাই হিট স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হন।

দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, গত ৪৮ দশকের তুলনায় গত দশকের বছরগুলোতে অন্তত তিন থেকে চারদিন প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এ কারণে সেখানে বসবাসরতদের সাপ্তাহিক ও মাসিক পূর্বাভাসের প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানের হুন্দাই সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ 

জুলাইয়ের শেষের দিকে এবং পুরো আগস্ট মাসজুড়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যেতে পারে— আবহাওয়া অধিদফতরের এমন আশঙ্কায় সেখানকার ছোট-বড় কোম্পানিগুলো এখন থেকেই গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে, দেশটিতে করোনা সংক্রমণের হার প্রতিদিনই বাড়ছে। এ কারণে চারজনের অধিক মানুষকে একত্রিত না হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দাবদাহ ও করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দূরে কোথাও ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বেশি বেশি পানি ও কফি জাতীয় ড্রিংকস পান করতে বলা হয়েছে।

এমএআর/