বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ভোগান্তি অবসানে উদ্যোগ নিল মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে প্রবাসীদের ভোগান্তির অবসান হবে দ্রুতই। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে ইমিগ্রেশনের ভিড় এড়াতে আরও ২০টি কাউন্টার বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন মহা পরিচালক দাতুক খায়রুল দাযায়মি দাউদ।

অতিরিক্ত বিশেষ কাউন্টার থেকে একসঙ্গে ৮৫০ থেকে ১ হাজার লোকের সেবা নেওয়ার মতো জায়গা হবে বলে আশা করছেন ইমিগ্রেশন মহা পরিচালক।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা যাতে চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের অনুমতি ছাড়াই নিজ দেশে ফিরতে পারেন সেজন্য এ উদ্যোগ নেয় দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। 

৫ জুলাই থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) তিনটি স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা কাউন্টারগুলো পরিচালিত হয়ে আসছিল। অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেমের (এসটিও) মাধ্যমে ফ্লাইটের সময়কালের কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা আগে অনুমতি ছাড়াই অভিবাসীরা কাউন্টার ছাড়ার কথা থাকলেও অধিক ভিড়ে বিপত্তিতে পড়েন প্রবাসীরা। কেউবা বিমানে দেশে আসতে পারছেন আবার কেউবা ইমিগ্রেশনের ভিড়ে থেকেই গেছেন। বিমান ধরা হচ্ছে না। বন্দরের ফ্লোরেই বসে রয়েছেন। আবার বসে থাকার মধ্যে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা আগে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে গেলেও সারতে পারছেন না ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া। মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে প্রবাসীদের ভোগান্তির শেষ নেই। শত শত প্রবাসীকে বিমানবন্দরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় ইমিগ্রেশনের ভিড় এড়াতে কেএল আইএ-১, কেএল আইএ-২তে বসানো হবে নতুন ২০টি কাউন্টার। 

ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযায়মি দাউদ বলেছেন, অনুমতি ছাড়াই অভিবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় দ্রুততম সেবাদানে ২০টি কাউন্টার বসানো হবে। ৯৮ হাজার ১৯৪ জন দেশে যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।

নিজ নিজ দেশে ফিরতে দূতাবাস কর্তৃক অনুমোদিত বৈধ ভ্রমণের দলিল ও এয়ার টিকিট দরকার হবে। এছাড়া ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা টাচ এন ই-এর মাধ্যমে ৫০০ রিঙ্গিত জমা দিতে হবে। এছাড়াও লাগবে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার স্লিপ।

পাসপোর্ট নেই এমন প্রায় ২০০ প্রবাসী ৫ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস নিয়েছেন। এছাড়া কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ট্রাভেল পাস দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।

এইচকে