পর্তুগিজ সরকার বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। ‌‘আভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান এমএআইএস’ প্রোগ্রামের আওতায় আগ্রহী ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় শনিবার (১৪ আগস্ট) এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রণোদনার আওতায় আবেদনকারী সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪২৭ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ লাখ টাকা) সহযোগিতা পাবেন। তবে পরিবারের সংখ্যা বিবেচনায় এর তারতম্য হতে পারে। এ সহযোগিতা পেতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই দেশের অভ্যন্তরে এক বছরের বেশি সময় অবস্থানের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। পর্তুগালের ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের (আইইএফপি) ওয়েবসাইটে আবেদনের পদ্ধতি ও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

আইইএফপির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট থেকে ‘আভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান এমএআইএস’ এই প্রোগ্রামটি চালু করা হয়। ইতোমধ্যে ৫৬০ জন আবেদন করেছেন, তবে তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৯৮০ জন, উক্ত আবেদনের ৩৮ শতাংশ‌ই জমা পড়েছে রাজধানী লিসবনে বসবাস করার জন্য।

তবে এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ৫০ শতাংশের বেশি আবেদনকারী ৩৪ বছরের নিচে এবং তাদের ৬৩ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত। 

এ বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় শ্রম ও সংহতি এবং সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী আনা মেন্ডেস গোদিনহো বলেন, এই প্রণোদনার মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণদেরকে দেশের মধ্যেই স্থায়ীভাবে ধরে রাখা।

বিশেষত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবাধ বিচরণ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় পর্তুগালের নিম্ন বেতন কাঠামোর কারণে দেশের প্রতি তরুণদের একটা অংশ অন্য দেশে পাড়ি জমান। ফলে সরকারের এ পরিকল্পনা পর্তুগিজ নাগরিকদের দেশে ফিরতে উৎসাহিত করবে এবং পর্তুগাল সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে।

ওএফ