আফগান শরণার্থী গ্রহণ এবং তাদের সুরক্ষায় সব ধরনের লজিস্টিক এবং আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ন্যাটোর অংশ হিসেবে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন মিউনিসিপালিটির (সিএমএল) প্রেসিডেন্ট (মেয়র) ফার্নান্দো মেদিনা সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক শরণার্থী শহর নেটওয়ার্কের প্রতিনিধি পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (১৬ আগস্ট) লিসবন মিউনিসিপালিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ফার্নান্দো মেদিনা বলেন, যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে তাদের রক্ষা করতে আমারা দায়িত্বশীল। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি আফগান নারী, বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যারা জনগণের সামনে এসেছিলেন তাদের জন্য বেশি উদ্বেগের।

তিনি বলেন, লিসবন এমন একটি শহর, যা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানবাধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। কাবুলে বর্তমানে যে ছবিগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি তা খুবই মর্মান্তিক। তাছাড়া আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠী ভয় এবং দমন-পীড়নের মধ্যে রয়েছে। তারা উন্নত জীবন চায়, তাই তাদের জন্য লিসবনেরও দায়িত্ব রয়েছে।

গত রোববার (১৫ আগস্ট) পর্তুগালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জোয়াও গোমেজ ক্র্যাভিনহো বলেছিলেন, পর্তুগাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সমন্বয়ে আফগানিস্তানের নাগরিকদের সুরক্ষা ও গ্রহণ করতে প্রস্তুত। পর্তুগাল আফগানিস্তানের চলমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।

এসএসএইচ