পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

ব্রিটিশ মূলধারার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

ব্রেক্সিটের পর বাংলাদেশ হতে পারে ব্রিটেনের অন্যতম ব্যবসায়ী সহযোগী। বাংলাদেশের সাথে ভারত ও চায়নাসহ, সাউথ এশিয়ান অনেক দেশের যোগাযোগ ভালো, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। 

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সেন্ট্রাল লন্ডনের কপথর্ন হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে বিজনেস ডায়লগ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের সম্পর্কের ৫০ বছরে কোভিড-পরবর্তী নতুন অর্থনৈতিক ভিশন বিষয়ক এই অনুষ্ঠানে বিবিসিসিআই-এর লন্ডন রিজিয়ন প্রেসিডেন্ট এএইচএম নুরুজ্জামানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই ইউকে প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন।

ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের সিইও রিচার্ড বার্গ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের অগ্রগতি আমেরিকার চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান স্যার হুগো সোয়াইর কেসিএম, লর্ড শেখ, বিসিসিআই-এর অ্যাডভাইজার শাহগীর বখত ফারুক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে খুব দ্রুত টিকা দেওয়ার জন্য দেশেই টিকা তৈরির জন্য সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বাংলাদেশের কোম্পানি ইনসেপ্টা মাসে ৪০ মিলিয়ন টিকা তৈরি করতে পারবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি থেকে শুরু করে যেকোনো ব্রিটিশ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে শর্ট টার্ম ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসা সিস্টেমে এক্সপার্ট মাইগ্রেশন পাঠানোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এইচকে