নিহত শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও হাফেজ আব্দুল আহাদ (৩০)

দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলি ও শ্বাসরোধ করে এক দিনে দুই বাংলাদেশি নাগরিক খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) শফিকুল ইসলাম (৫৫) ও হাফেজ আব্দুল আহাদ (৩০) নামের দুই প্রবাসী পৃথক ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশি কমিউনিটি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপু প্রদেশের পলোকোয়ানে এলাকায় শফিকুল ইসলাম (৫৫) নামের বাংলাদেশিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডাকাত দল।

নিহত শফিকুল ইসলাম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান।

পলোকোয়ান এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক দেলোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের দোকান খুলেন। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ক্রেতা শফিকুল ইসলামকে কিছু পণ্য দিতে বলেন। পণ্যগুলো গুছিয়ে দেওয়ার সময় তারা পেছন থেকে শফিকুল ইসলামকে ঝাপটে ধরে মুখে টেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তারা দোকান থেকে নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা মরদেহ উদ্ধার করে।

উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল ভূঁঞা বলেন, শফিকুল ইসলামের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এছাড়াও, একই দিন ভোর ৪টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে হাফেজ আব্দুল আহাদ (৩০) নামের আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ক্লাসডর্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, হাফেজ আব্দুল আহাদ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে অলমারান্সট্যাড নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে দোকানের জিনিসপত্র কেনার উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ নিয়ে ক্লাসডর্প শহরে যাচ্ছিলেন। পথে ডাকাতদল তাকে গুলি করলে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হাফেজ আব্দুল আহাদ সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের পালোপাড়া গ্রামের সজীব আলীর ছেলে।

এক দিনে দুই প্রবাসী খুনের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীরা খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন।

ওএফ