করোনার নতুন সংক্রমণে নাকাল পর্তুগাল
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে পর্তুগালে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ) একদিনে সর্বোচ্চ ২১৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে । এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৫ জন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মার্তা টেমিদো জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমরা সংক্রমণের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছি। সুতরাং আপনারা ঘরে থাকুন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা করুন।
বিজ্ঞাপন
পর্তুগালের বেশিরভাগ হাসপাতাল তাদের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রেও আসন সঙ্কট। তবে বিভিন্ন শিশু হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে গত ৮ জানুয়ারি নতুন জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারপরেও রাস্তায় মানুষের চলাচল না কমায় গত ১৮ জানুয়ারি জরুরি খাদ্য বিক্রয়কারী, সুপার মার্কেট, রেস্টুরেন্টসহ সব প্রতিষ্ঠান খোলা ও বন্ধের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কর্মঘন্টা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এক সিটি করপোরেশন থেকে অন্য সিটি করপোরেশনে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সুপার মার্কেট ছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠান দুপুর একটায় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা দেশের নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি সবাইকে দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাস্তায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। জরুরি অবস্থায় সব ধরনের জরিমানা দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে তাদের অটোমেটিক লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংক থেকে নামমাত্র সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পর্তুগালে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ ও ৯ হাজার ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওএফ