করোনার কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকা কর্মক্ষেত্রগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এতে অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরী ইয়াকুব।
 
করোনায় দেশটিতে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ফেজ ১, ২, ৩ ও ৪  নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ধীরে ধীরে এই ধাপগুলো বাস্তবায়ন করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলেছেন, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপকহারে অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরগুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ সেক্টর, কল-কারখানা, পর্যটন স্পট, বিনোদন কেন্দ্র, দোকানপাট সহ গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে এসব অর্থনৈতিক খাতগুলো পরিচালনা করবেন যারা ইতিমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পার করেছেন। 

এদিকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এক যৌথ অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১২ জন অভিবাসী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। দেশটির প্রিমিস সেক্টর প্রেসিন্ট ৯ এবং ১০ নং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি তা জানা যায়নি। 

অপর অভিযানে ৭ অভিবাসীকে ভিসার অপব্যবহারের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন।

অভিবাসন বিভাগ বলছে, তাদের কাছে দেশটিতে বৈধভাবে অবস্থান করার পারমিট ছিল না। তাই তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার জাতীয় অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করার পর এখন দেশটির সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। 

এছাড়া বৃহস্পতিবার ৭ জন ফিলিপিনো ও ইন্দোনেশীয় শ্রমিককে কুয়ালালামপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের অপরাধ শাহআলম নামক এলাকার একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে ভিসা ও পারমিটের অপব্যবহার করে চাকরি করছিল। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার রিংগিত জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।

জেডএস