পর্তুগালে প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন শাহ আলম কাজল। মিউনিসিপালিটি নির্বাচনে বন্দরনগরী পোর্তো শহরের ফ্রেগজিয়া বনফিমের অ্যাসেম্বলি প্যানেলে কাউন্সিলর পদে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পালপাড়া গ্রামে ১৯৭১ সালে ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শাহ আলম কাজল। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী এবং মায়ের নাম হালিমা বেগম। বর্তমানে দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তান নিয়ে পর্তুগালে বসবাস করছেন তিনি।

স্থানীয় আমিশাপাড়া খলিলুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতকে অধ্যয়নরত অবস্থায় স্পেনে পাড়ি জমান কাজল। পরে ১৯৯২ সালে পর্তুগালে প্রবেশ করেন এবং ২০০৪ সালে তিনি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব লাভ করেন।

শাহ আলম কাজল জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুযোগ সুবিধা আদায়ে এবং বাংলাদেশকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরার জন্য তিনি ২০১১ সালে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। স্থানীয় রাজনীতিতে একজন বিদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণ অনেক চ্যালেঞ্জিং হলেও তিনি দলের কাছ থেকে সবসময় সহযোগিতা পেয়েছেন এবং সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি মহানগর কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি জানান, আমার এই যাত্রা কেবল শুরু। আমাদের আগামী প্রজন্ম পর্তুগালের স্থানীয় রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পর্তুগালে নতুন আগতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যোগাযোগ তৈরি করে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশকে স্থানীয়দের মধ্যে তুলে ধরতে হবে।

অপরদিকে রাজধানীর লিসবনের মিউনিসিপ্যালিটির সিটি নির্বাচনে অ্যাসেমব্লির সদস্য পদে সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষে প্রবাসী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তিনি বিজয়ী হতে পারেননি।

জেডএস