দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে বেড়েছে গুম, খুন ও করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এর সাথে পাল্লা দিয়ে হঠাৎ বেড়েছে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে মৃত্যু। চলতি বছরের শেষ তিন মাসে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে প্রায় চল্লিশ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও প্রবাসী বাংলাদেশি সূত্রে জানা গেছে, শুধু সেপ্টেম্বর মাসে দেশটিতে অবস্থানরত ১২ জন বাংলাদেশি স্ট্রোকে মারা গেছেন। 

গত ২ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ডারবানে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক মারা যান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে।

৫ সেপ্টেম্বর কেপটাউন ও নর্দার্ন কেপ প্রদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরও দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। কেপটাউনের আরিফুল ইসলাম (৩৫) নিজ দোকানে কর্মরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি গাজীপুরের বাসিন্দা। একইদিন দেশটির নর্দার্ন কেপ প্রদেশে মিরাজ মিয়া (৪০) নামে আরও এক বাংলাদেশির হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে।

এদিকে, ২৯ সেপ্টেম্বর ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কুইন্স টাউনে নোয়াখালীর বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া, আব্দুস ছামাদ নামে আরও এক বাংলাদেশির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি সিলেট হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের দেবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারম্যারেজবার্গে মুহাম্মদ মাসুদ নামে অপর একজন বাংলাদেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি মানিকগঞ্জের বাসিন্দা।

দূতাবাসের হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। হঠাৎ হৃদরোগে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের অনেকেই মনে করছেন, টানা কাজের চাপে প্রবাসীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকা, করোনার কারণে ব্যবসায়িক মন্দা, অংশীদারের সঙ্গে ঝামেলা, চোর-ডাকাতের চিন্তায় অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

এইচকে