কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশের রাজধানী উইনিপেগ শহরের ক্রিক ব্রিজ পার্কে ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজে প্লাজার উদ্বোধন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফেডারেল এমপি, প্রভিন্সিয়াল সরকারের কর্মকর্তা, উইনিপেগ সিটির কাউন্সিলর, বিভিন্ন কমিউনিটি প্রধান, বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন এবং স্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্লাজার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সিটি কাউন্সিলার জেনিস লুকাস। অনুষ্ঠানে সাউথ ওয়েস্ট কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা থ্যাংক্স গিভিং গান পরিবেশন করেন। বিয়ার্ডমোর্ড স্কুলের আট শিক্ষার্থী তাদের নিজের ‘মায়ের ভাষার গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেন। কয়েকজন বাংলাদেশি শিল্পী বাংলা দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ভবনের সভাপতি খাজা আব্দুল লতিফ, উইনিপেগ সাউথ এলাকার ফেডারেল এমপি টেরি দুগাদ, শার্লি কলেজিয়েটের অধ্যক্ষ শেরিল ম্যাককোরিস্টার, বাংলাদেশ ভবনের আব্দুল্লাহ কফি, কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ম্যানিটোবার প্রেসিডেন্ট শরীফ ইসলাম। পরে কেক ও ফিতা কেটে অনুষ্ঠানিকভাবে প্লাজার উদ্বোধন করা হয়।

আলোচনায় বাংলাদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পাশাপাশি উঠে আসে কানাডার ভাষা হারানোর কথা। কানাডার ফার্স্ট নেশনরা ৬০টি ভাষায় এখনো কথা বলেন। তাদের ভাষাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। কানাডার অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজি ও ফরাসি হলেও দেশটিতে ২০০টির বেশি ভাষার প্রচলন রয়েছে। অনুষ্ঠানে মায়ের ভাষা টিকিয়ে রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

দীর্ঘ দিন ধরে ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ প্লাজা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর প্রাথমিক উদ্যোক্তা ম্যানিটোবা বাংলাদেশ ভবন কর্তৃপক্ষ। পরে ম্যানিটোবা প্রভিন্সের উইনিপেগ সিটি গভার্মেন্ট ক্রিক ব্রিজ পার্কে স্থাপনাটি নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করে। এটি নির্মাণ করতে প্রায় এক লাখ ৭৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়। এই নির্মাণ খরচের ৮০ ভাগই সরকার প্রদান করে। বাকি ২০ ভাগ অর্থ বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। কানাডার বিভিন্ন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলো অনুষ্ঠানটি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে।

ওএফ