বাংলাদেশি কোম্পানি ভাইয়া গ্রুপের (আরাফাত ট্রেডিং) বিরুদ্ধে মালয়েশিয়াতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানকার এক ব্যবসায়ী। সময়মতো কন্টেইনার গ্রহণ অথবা ফেরত না দেওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।  

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৯টায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে করেন মালয়েশিয়ার মাহিমা ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন, বিএইচডি-এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আজম বিন হাসবি। 

এরআগে একই অভিযোগে স্থানীয় থানায় ভাইয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ও কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই মালয়েশিয়ান নাগরিক।

লিখিত অভিযোগে মোহাম্মদ হাসবি বলেন, ভাইয়া গ্রুপের সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য আমার কোম্পানির চুক্তি হয়। চুক্তির পর মালয়েশিয়ার সকল প্রক্রিয়া মেনে ২০২১ সালের ২৯ মার্চ ১৫ টন গুঁড়াদুধ (যার বাজার মূল্য ৩৪ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার) মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠানো হয়; যার এলসি নম্বর ০৯৯৮২০০১১৯৮৪।
গুঁড়া দুধের কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে শুরুতেই তা দ্রুত খালাস করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন ভাইয়া গ্রুপ (আরাফাত ট্রেডিং) মালয়েশিয়ার সমন্বয়ক মোহাম্মদ সামির খান। কিন্তু পরবর্তীতে সমন্বয়ক সামির ও ভাইয়া গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা বিষয়টি সুরাহা না করে ঝুলিয়ে রাখে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গেল ৮ মাসেও মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো এ পণ্য গ্রহণ বা ফেরত না দেওয়ায় হাইকমিশনে লিখিত অভিযোগ ও এ সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানান মোহাম্মদ আজম বিন হাসবি।  

সংবাদ সম্মেলনে মাহিমা ইন্টারন্যাশনাল এসডিএন বিএসডির অংশীদার রাসেল রানা অভিযোগ করেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বিষয়টা সমাধানের। কিন্তু ভাইয়া গ্রুপ (আরাফাত ট্রেডিং) কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আমরা কোনো সাড়া না পাওয়ায় বাধ্য হয়েছি আইনি পদক্ষেপ নিতে। বিষয়টা নিয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মারুফ সাত্তার আলির সঙ্গেও কথা বলেছি। এ ধরনের ঘটনা দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিষয়টি সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাসেল রানা।  

এনএফ