পর্তুগালে আগামী ৩০ জানুয়ারি মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  নির্বাচনকে সামনে রেখে চালানো দৈনিক জরিপে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন সোশালিস্ট পর্টিকে (পিএস) ছাড়িয়ে গেছে বিগত সংসদের বিরোধী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি)।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) পিতাগোরিকার মাধ্যমে সিএনএন পর্তুগালের এই জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন পিএস পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিরোধী পিএসডি পেয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন।

অপরদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার জনপ্রিয়তা দিন দিন কমতির দিকে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে বেশিরভাগ মানুষই আন্তোনিও কস্তাকে পুনঃবিবেচনার মত প্রকাশ করলেও ধীরে ধীরে তা পরিবর্তন হচ্ছে। 

গতকালের হিসেবে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ মানুষ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আন্তোনিও কস্তাকে দেখতে চান না। আর ৩৭ শতাংশ মানুষ তার পক্ষে রায় দেন। অপরদিকে ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষ নিরপেক্ষ মতামত দিয়েছেন।

তবে এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে জনগণের বেশিরভাগ সমর্থন পেলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনো দলই পাচ্ছে না। সরকার গঠন করতে হলে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা অন্যান্য দলের সঙ্গে সমঝোতা করে বিগত সংসদের মতো জোট সরকার গঠন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাজেট বিরোধিতার কারণে ক্ষমতাসীন দলের শরিক দলগুলোর থেকেও সোশালিস্ট পর্টি কতটা সহযোগিতা পাবে তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।

অপরদিকে জোট সরকারের ব্লক ইশকেরদা ও সিডিইউ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে। তারা যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৭ শতাংশ জনমত পেয়েছে। 

অপরদিকে গত ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কট্টর ডানপন্থী দল শেগা-র জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তারা পেয়েছেন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন। অপর নতুন তিনটি দল ইনিশিয়েটিভ লিবারেল, পিএএন ও লিব্রের সমর্থন কিছুটা তারতম্য হলেও তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। দলগুলো যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭, ১ দশমিক ৬ ও ১ দশমিক ২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে।

ওএফ