পর্তুগালে জাতীয় নির্বাচন রোববার
পর্তুগালে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রোববার (৩০ জানুয়ারি)। গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ছিল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন। তাই রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন প্রধান শহরে ভোটারদের মন জয় করতে নানা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
পর্তুগালে সর্বমোট ২৩০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী লিসবন এরিয়াতে রয়েছে সর্বোচ্চ ৪৮টি আসন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বন্দরনগরী পর্তোতে ৪০, ব্রাগা ১৯, সেতুবাল ১৮, আভেইরো ১৬, লেরিয়া ১০, কুইমরা/ফারু/সান্তারাইতে ৯টি করে, ভিসেউ ৮টি, মাদেইরা/ভিয়েনা ডো কাস্তেলো ছয়টি করে, আজোরেস/ভিলা রিয়েল ৫টি করে, কাস্তেলো ব্রাংকো ৪টি, গোয়ারদা/বেজা/ব্রাগানসা/এবোরা ৩টি করে, পোরতালেগ্ৰে দুইটি সংসদীয় আসন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনে ২৩টি রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অংশগ্রহণকারী প্রধান দলগুলো হচ্ছে— সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস), পিএসডি, বিই, সিডিইউ (২টি দলের জোট পিসিপি এবং পিইভি), পিএএন, আইএল, সেগা, লিব্রে, সিডিএস-পিপি, এমপিটি, আরআইআর, ইরগূইতে, এমএএস, আলিয়ানসা, এভিএন।
নির্বাচন জরিপে প্রধান দুটি দল সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি একে অপরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। প্রতিদিনই নির্বাচন জরিপের ফলাফল পরিবর্তিত হয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন সোশালিস্ট পার্টি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় ১১৬টি সংসদীয় আসন আদায় করা কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব হবে না। জরিপের ফলাফল এবং বিগত নির্বাচনের দৃশ্যপট অনুযায়ী- ২০১৯ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি ১০৮টি আসন অর্জন করতে পেরেছিল। চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিক দল নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বর্তমান ক্ষমতাসীনরা।
নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পর্তুগিজ নাগরিকের সঙ্গে আলাপকালে দেখা যায়, তারা মহামারির প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট কিছু অব্যবস্থাপনার উদাহরণ দিয়ে ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রতি কিছুটা মনোক্ষুণ্ন। তবে সার্বিক সমর্থনে বাম দলগুলোকে এগিয়ে রাখছেন তারা। অপরদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অভিবাসীরা ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টির পক্ষে রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন। কেননা, এ সরকার গণমানুষের এবং অভিবাসী-বান্ধব বলে তারা মনে করেন।
এসএসএইচ