মালয়েশিয়ার স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরী হামজা জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে সরকারের অনুরোধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হামজা জয়নুদ্দিন এসব তথ্য জানান।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ গতকাল বুধবার সকালে এম খায়রুজ্জামানকে সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকা থেকে আটক করেছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন শেষে এক যুগের বেশি সময় ধরে দেশটিতে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন খায়রুজ্জামান।

মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন বলেন, বিধি মেনেই তাকে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য তাকে (খায়রুজ্জামান) আটকের জন্য বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছিল।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে অবসরে পাঠানোর পাশাপাশি জেলহত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন। এরপর চাকরি ফিরে পেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি জেলহত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি লাভ করেন। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে। ফিরে আসার পর ঝুঁকি নিয়ে খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড পান এবং সেখানেই থেকে যান।

এদিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। 

আইএসএইচ