রমজান মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমদের ওপর রোজা রাখা ফরজ। এছাড়াও আরও অনেক নফল রোজা রয়েছে। অনেকেই সেসব রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু কথা হলো- কেউ যদি রোজা অবস্থায় ভুলে কোনো খাবার খেয়ে ফেলেন, তাহলে কি তার রোজা ভেঙে যাবে?

এই প্রশ্নের উত্তর হলো- সজাগ থাকা অবস্থায় ভুলে পানাহার করলেও রোজা ভাঙে না। আর কেউ যদি ঘুমে পানাহার করে— তাহলে তো রোজা ভাঙার প্রশ্নই উঠে না।

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল; সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ, আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১/২০২)

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আছে, ‘যে রমজান মাসে ভুলে পানাহার করল, তার ওপর কোনো কাজা নেই; কোনো কাফফারাও নেই।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ০৮/২৮৮; হাকিম, হাদিস : ০১/৪৩০; সাহিহুল জামি, হাদিস : ৬০৭০)

আরও পড়ুন : রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে কী?

ফিকহের কিতাবে রয়েছে যে, পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায়; যদি রোজাদারের এ কথা মনে থাকে যে; সে রোজা রেখেছে। সুতরাং কেউ যদি রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার ও সঙ্গম করে, তবে তার রোজা ভাঙবে না। অবশ্য, স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩৬৫)

আরও পড়ুন : অসুস্থ ব্যক্তি যখন রোজা ভাঙতে পারবে

লক্ষ্যণীয় যে, দাঁতের মধ্যভাগে কোনো জিনিস ছোলা (চানাবুট) পরিমাণ কিংবা তার ছেয়ে বেশি আঁটকে থাকার পর তা খেয়ে ফেললে কিংবা ওই পরিমাণের চেয়ে কম— কিন্তু মুখ থেকে বের করে পুনরায় খেলে রোজা ভেঙে যাবে। (দুররে মুখতার, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩৯৪)

আরও পড়ুন : ইফতারের যেসব মাসআলা জেনে রাখা উচিত

দাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে কণ্ঠনালীর নিচে নেমে গেলে এবং রক্ত যদি থুথু অপেক্ষা বেশি কিংবা সমান অথবা কম হয় এবং সেটার স্বাদ কণ্ঠে অনুভূত হলে— রোজা ভেঙে যাবে। যদি কম থাকে, আর স্বাদও কণ্ঠে অনুভূত না-হয়, তাহলে এমতাবস্থায় রোজা ভাঙবে না। (দুররে মুখতার, খণ্ড : ০৩, পৃষ্ঠা : ৩৬৮)

নাকের ছিদ্র দিয়ে ঔষধ প্রবেশ করালে রোজা ভেঙে যাবে। (আলমগিরি, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২০৪)