মসজিদ নির্মাণে শায়খ আহমাদুল্লাহর কাছে সোনা পাঠালেন দাতারা

বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক, আলোচক ও সমাজচিন্তক শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দেশজুড়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফাউন্ডেশনটির সেবামূলক সার্বিক কাজ সর্বত্র বেশ সুনাম ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

কিছুদিন আগে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য সাহায্য চেয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। আর সেই প্রজেক্টে অংশগ্রহণের জন্য নিজেদের সাজ-সজ্জার গহনা পাঠিয়ে নজির তৈরি করেছেন কয়েকজন নারী।

এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক পেইজে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, গহনা মেয়েদের কতো প্রিয় জিনিস সেটা বলাই বাহুল্য। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য সেই প্রিয় বস্তুটা দান করে ত্যাগের পরম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন কয়েকজন বোন। একজন পাঠিয়েছেন হাতের প্রিয় আংটি, আরেকজন পাঠিয়েছেন ব্রেসলেট।

আসলে কেউ দান  দান করার জন্য আর্থিক সঙ্গতি হয়ত কিছুটা লাগে। তবে এরচেয়ে বেশি লাগে মনের ঐশ্বর্য এবং হার্দিক ভালোবাসা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দানের গুরুত্ব বর্ণনা করার পর কোনো কোনো মহিলা সাহাবী নিজেদের শরীরের গহনা খুলে দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২৪৯)

আরও পড়ুন : যেভাবে তিনি হয়ে উঠলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

এরকম আত্মত্যাগী ও আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রত্যাশী নারী সমাজে এখনো আছেন—আলহামদু লিল্লাহ। উপরিউক্ত ঘটনাগুলো এর প্রমাণ।

এই ধরনের মানুষগুলোর ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার সামর্থ আমাদের নেই। আল্লাহ তাঁদের যথার্থ প্রতিদান দেবেন ইন-শা-আল্লাহ, দুনিয়ায় এবং আখিরাতে।

তিনি আরও লিখেছেন, গহনা মেয়েদের কতো পছন্দের জিনিস সেটা বলা বাহুল্য। যেসব বোনেরা সেই প্রিয় জিনিসটা দান করলেন মহান আল্লাহ তাদের এই ত্যাগের সর্বোত্তম বিনিময় দান করুন।

প্রসঙ্গত, মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারীদের মহান আল্লাহ ভীষণ পছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১৮)

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৫০)