ছবি : সংগৃহীত

‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে’। এটাই অনিবার্য নিয়তি ও অমোঘ পরিণতি। কারো মৃত্যু আগে হয়, আর কারো হয় পরে। পার্থক্য কেবল এতটুকুই। 

চিরসত্য মৃত্যু সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। ’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন— 

প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমরা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে।

(সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৩৫)

একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া কেউ চিরন্তন নয়। প্রত্যেক প্রাণির মৃত্যু ভাগ্যলিপি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)

মানুষের আত্মীয়-স্বজন, আপনজন কিংবা কাছের ও পরিচিত কেউ মারা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাদের কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে— মানুষ কষ্টে বিষাদক্লিষ্ট ও ব্যথাতুর হয়। তাদের স্মরণ করে প্রতিনিয়ত স্মৃতিকাতর হয়। বেদনার পলেস্তরা ও কষ্টের দানা জমাট বাধে হৃদয়-মনে। এ বেদনা ও স্মৃতিকাতরতা থেকে জন্ম নেয়— যদি সম্ভব হয় তাদের জন্য কিছু প্রবল ইচ্ছা।

কিন্তু মৃতদের জন্য কী করা যায়— এ ব্যাপারে মানুষের ঔৎসুক্য থাকে। শরিয়ত মৃতদের স্মরণের সুন্দর ও সঠিক নির্দেশনা দিয়েছে। এ জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়, দিবস বা তারিখের অপেক্ষা করতে হয় না। কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। সেমিনার-সিম্পোজিয়াম বা কোনো অনুষ্ঠানেরও প্রয়োজন নেই। তাদের জন্য বিভিন্ন আমল করার পাশাপাশি তাদের উত্তম ও ভালো কিছুর আলোচনা করতে হাদিসে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০০)

আল্লাহ তাআলা আমাদের মৃত মানুষদের ভালো কাজের আলোচনা ও খারাপ কিছু থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।