ছবি : সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের সঙ্গে রোজার সম্পর্ক ঘোষণা করেছেন। অন্য সব ইবাদত-বন্দেগি থেকে রোজাকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন। এমনকি রোজার প্রতিদান তিনি নিজে দিবেন বলেছেন।

এক হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন— 

মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম, তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব।

(মুসলিম, হাদিস : ২৭৬০)

রাসুল (সা.) নিজে বৃহস্পতি ও সোমবার রোজা রাখতেন। তাই সোম-বৃহস্পতিবার রোজা রাখা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। আবু কাতাদা আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.)-কে সোমবার দিনে রোযা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই দিন আমি জন্ম নিয়েছি, আর এদিনই আমার উপর কোরআন নাজিল হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ২৮০৭; ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ২১১৭; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২৫৫০; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৪২৮)

রাবিআ ইবনুল গাজ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়শা (রা.)-এর কাছে রাসুল (সা.)-এর রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তখন তিনি জবাবে বলেন, রাসুল (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখার ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৩৯; ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৬৪৩)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, সোমবার ও বৃহস্পতিবার আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। তাই আমি রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপন করা হোক— এটা পছন্দ করি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৪৭; সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৬৬৭)