বিয়ে জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। শত ব্যস্ততা আর অশান্তির মাঝে স্বস্তি মেলে পরিবারের সদস্যদের এক চিলতে বাঁকা ঠোঁটের হাসি দেখে। হাদিসেও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক ঈমান (দ্বীন) পূর্ণ করে। অতএব বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। মিশকাতুল মাসাবীহ, ৩০৮৯

বিয়ের বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন; যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও স্নেহ সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। (সূরা আর-রূম, ২১)

ইসলাম মানুষের স্বভাবজাত এই প্রয়োজনকে ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিয়েকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন। হাদিসের ভাষ্য, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’-(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৩৯০)।

আমাদের দেশে সামাজিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে মা-বাবা ও পরিবার পাত্রী পছন্দ করে থাকেন। তবে অনেকে নিজের পছন্দেও বিয়ে করেন। বিয়ের আগে হবুবধূকে বিভিন্ন ধরনের উপহার দেন। যেহেতু ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত নারী-পুরুষের সম্পর্ক সমর্থন করে না, তাই স্বাভাবতই প্রশ্ন জাগে বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়েছে এমন মেয়েকে উপহার দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা।

এ বিষয়ে ইসলামী সমাধান হলো, বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়ে গেলে ছেলেরা বিয়ের আগেই তার বাগদত্তাকে উপহার দিতে পারবে। তবে ছেলে নিজেই সরাসরি উপহার দিতে পারবে না। বাগদত্তার ভাই অথবা কোনো মাহরামের মাধ্যমে তার কাছে ধর্মীয় বই বা অন্য কোনো উপহার পাঠাতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। - আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩০৪; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, ১/৩৪১

এনটি/