আজান শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, ডাকা, আহ্বান করা। আজান দ্বারা উদ্দেশ হলো, বিশেষ কিছু শব্দের মাধ্যমে নামাজের সময় সম্পর্কে জানানো। আজানের মাধ্যমেই মুসলমানরা বুঝতে পারেন যে নামাজের সময় হয়েছে।

নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। আজান শোনা ও আজানের জবাব দেওয়া স্বতন্ত্র্য ইবাদতও বটে। 

মুমিন মাত্রই নবীজির হাদিস ও তাঁর নির্দেশনা মেনে সওয়াব ও পরকালের পাথেয় অর্জনের চেষ্টা থেকে আজানের উত্তর ‍দিতে চাইবেন। তবে কখনো কখনো এমন সময় আজান দেয় যখন আমাদের অজু থাকে না, ইস্তিঞ্জা করে নতুন অজু না করার কারণে। এমন সময় আজানের উত্তর দিতে চাইলে অজু করতে হবে নাকি অজু ছাড়াই উত্তর দেওয়া যাবে?

অজু ছাড়া আজানের উত্তর দেওয়া যাবে?

এক্ষেত্রে শরয়ী সমাধান হলো, আজান শোনে মৌখিকভাবে উত্তর দেওয়া সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা আজান শুনবে, তখন জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬১১) 

আজানের উত্তর দেওয়ার জন্য অজু জরুরি নয়। অজু না থাকলেও আজানের উত্তর দেওয়া যাবে। আজানের উত্তর দেওয়ার জন্য নতুন করে অজু করা জরুরি নয়। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৯৬; আলবাহরুর রায়েক ১/২৫৯; মারাকিল ফালাহ ১১০

আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম

মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। এটা হলো- আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা এটির পরিবর্তে ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই ফিকাহবিদদের বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫)

এনটি/