আশুরায় ১০ মুহররমের সাথে ৯ অথবা ১১ তারিখে রোজা রাখা মুস্তাহাব। কারো ওপর যদি রমজানের ফরজ রোজার কাজা থাকে- তাহলে এমন ব্যক্তি আশুরার দিনে ফরজ রোজার কাজা আদায় করতে পারবেন কিনা?

এক্ষেত্রে শরয়ী সমাধান হলো, কারো ওপর রমজানের রোজার কাজা থাকলে পরবর্তী রমজান মাস আসার আগে যতটা দ্রুত রমজানের রোজার কাজা আদায় করতে হবে। বিনা কারণে কাজা আদায়ে বিলম্ব করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। তবে কাজা আদায় না করে অন্য কোনো নফল আদায় করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে।

ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা ও আইয়ামে তাশরিকের দিনগুলো ছাড়া বছরের যেকোনো দিন রমজানের রোজার কাজা আদায় করা যায়। এই দিনগুলোতে রোজা না রাখার বিষয়ে আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন ও কোরবানির দিন রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ বুখারি, ১৯৯২; সহিহ মুসলিম, ৮২৭)

কেউ যদি নিষিদ্ধ ‍দিনগুলোর বাইরে মহররম মাসের ১০ তারিখ ও ১১ তারিখ অথবা ৯ নয় ও ১০ তারিখ  রমজান মাসের কাজা রোজা পালনের নিয়ত করে সেটা জায়েজ হবে এবং দুই দিনের কাজা রোজা আদায় হয়ে যাবে।

 

অনুরূপভাবে তাশরিকের দিনগুলোতে রোজা রাখাও হারাম। তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে- ঈদুল আজহার পরের তিনদিন (১১, ১২ ও ১৩ই যিলহজ)। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে- পানাহার ও আল্লাহ্‌কে স্মরণ করার দিন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৪১)

তাই কেউ যদি নিষিদ্ধ ‍দিনগুলোর বাইরে মহররম মাসের ১০ তারিখ ও ১১ তারিখ অথবা ৯ নয় ও ১০ তারিখ  রমজান মাসের কাজা রোজা পালনের নিয়ত করে সেটা জায়েজ হবে এবং দুই দিনের কাজা রোজা আদায় হয়ে যাবে।

কারণ, প্রত্যেক কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি— ‘সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে। (বুখারি শরিফ : ১, মুসলিম শরিফ: ১৯০৭)

-ইসলাম সুয়ালুন ওয়া জওয়াব অবলম্বনে