প্রতীকী ছবি

আল্লাহ তায়ালা সব মানুষের জন্য জন্ম-মৃত্যু নির্ধারিত করেছেন। নবী-রাসুলরাও এই নিয়মের বাইরে নয়। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পৃথিবীতে আগমন-ওফাত হিজরী বর্ষপঞ্জির মাস রবিউল আওয়ালে। একারণে এই মাসটি মুমিন-মুসলমানদের কাছে অনেক গুরুত্ববহন করে।

নবীজির আগমন ও ওফাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন।’-(সুরা আল ইমরান, আয়াত, ১৪৪)

তবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে না থাকলেও মুসলিমদের জন্য তার আনীত দ্বীনের উপর অটল থাকতে হবে। তিনি যেই আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন তা আঁকড়ে ধরতে হবে।

কারণ নবীজি সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পক্ষ থেকে কোনও কথা-কাজ উম্মতের ওপর চাপিয়ে দেননি। তিনি আল্লাহ তায়ালার বাণী-নির্দেশনা উম্মতের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘এবং সে (রাসুল) মনগড়া কথাও বলে না। এ তো (কোরআন) ওহি, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।’ -(সুরা নাজম: ৩-৪)

 

তাই নবীজির আগমনের মাসে তার আনীত একনিষ্ঠ দ্বীনের ওপর অটল থাকতে হবে। দ্বীন-ইসলামে নেই এমন কোনও বিষয় উদযাপন করা যাবে না। রবিউল আওয়াল মাসে একশ্রেণীর মানুষ বিভিন্ন প্রথা, রীতি-নীতি ও শরীয়ত পরিপন্থী কর্ম-কাণ্ড চালিয়ে থাকেন। দ্বীনের নামে বিদআতে লিপ্ত থাকেন। এ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, ইসলামী শরীয়তে এসবের কোনো প্রমাণ নেই। 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের শরীয়তে নেই এমন বিষয় যারা আবিস্কার করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।'-(বুখারী: ২৬৯৭)

কাজেই উম্মাহর করণীয় হলো, নবী (স.) তাঁর কথা, কাজ, সম্মতি এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপের মাধ্যমে যে আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে গেছেন, সেই আদর্শের অনুসারী হিসেবে নিজেদের যোগ্য করে তোলা। 

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম, শৈশব, নবী হিসেবে প্রেরণ, দাওয়াত, জিহাদ, ইবাদত, আখলাক-চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা, তাকওয়া-তাহারত, দয়া-ভালোবাসা, রাগ-ক্রোধ, হাসি, উঠা-বসা, হাঁটা, ঘুম-জাগরণসহ যাবতীয় চালচলন ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর সামনে উপস্থাপন করা। এগুলো সামনে রেখে আলোচনা সভার অয়োজন করা। এবং ইসলাম সমর্থন করে না এমন কাজে মেতে না ওঠা।

এনটি