প্রতীকী ছবি

মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাস হলো পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। অজুর মাধ্যমে যা সহজেই সম্ভব। তবে অজু করার যেমন শরীয়ত নির্ধারিত পদ্ধতি আছে তেমন বেশ কিছু কারণে অজু ভেঙেও যায়, যা সবার জানা জরুরি।

অজু ভঙের কারণগুলো জানা না থাকলে কেউ হয়তো নিজেকে পবিত্র মনে করে কোনও ইবাদত পালন করবেন, কিন্তু তার ইবাদত কবুল হবে না। তাই অজু ভঙের কারণগুলো জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অজু যেসব কারণে ভাঙে তার একটি হলো শরীর থেকে রক্ত বের হওয়া। অনেক সময় নাক পরিস্কার করতে গিয়ে নাক থেকে জমাট রক্ত বের হয়। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে এতে অজু ভাঙবে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদরা বলেন, শরীর থেকে প্রবহমান রক্ত বেরিয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়। নাক থেকে বের হওয়া জমাট রক্তের কারণে অজু ভাঙবে না। কারণ এই রক্ত প্রবহমান নয়; বরং জমাট রক্ত, তাই এর কারণে অজু ভাঙবে না। -(আয্যাখীরাতুল বুরহানিয়া ১/২৯৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৫; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ১৩৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৩)

উল্লেখ্য, অজু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। কোরআন স্পর্শ করা যায় না। সব সময় অজু অবস্থায় থাকার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। যারা সব সময় অজুর মাধ্যমে পবিত্র থাকেন আল্লাহ তায়ালা তাদের ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তওবাকারী এবং পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ -(সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)

সব সময় অজু করে থাকলে শাহাদাতের মৃত্যু লাভ হয় বলে এক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, ‘হে আমার বেটা! সম্ভব হলে সবসময় অজু অবস্থায় থাকবে। কেননা মৃত্যুর ফেরেশতা অজু অবস্থায় যার জান কবজ করেন তার শাহাদাতের মর্যাদা লাভ হয়।’ -(শুয়াবুল  ঈমান, বায়হাকি : ২৭৮৩)

এনটি