প্রতীকী ছবি

মসজিদ মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র। রাসুল (সা.) মসজিদকে পৃথিবীর সর্বোত্তম স্থান বলেছেন। মসজিদ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ -(বুখারি, হাদিস : ৪৫০)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। -(তিরমিজি, হাদিস : ৫৯৪)

তাই মসজিদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া অবশ্যক। কোনও ধরনের অবহেলা, অযত্ন কাম্য নয়। মসজিদে কোনওভাবেই দুনিয়াবি কাজ-কর্ম, কথা বার্তা বলা উচিত নয়।

হাদীসে এ বিষয়ে কঠিন ধমকি এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কাউকে মসজিদে বেচা-কেনা করতে দেখলে বল, তোমার বেচা-কেনা লাভজনক না হোক। তেমনিভাবে কাউকে যদি মসজিদে হারানো বস্তুর এলান করতে দেখ তাহলে বল, আল্লাহ তোমার হারানো বস্তু ফিরিয়ে না দিন। -(অর্থাৎ এ কাজটি  খুবই নিন্দনীয়)। -(জামে তিরমিজি, ১৩৩৬; সহীহ ইবনে খুযাইমা, ১৩০৫)

অনেকেই জানতে চান-

কারো বাসা এবং এলাকার বাজারের মাঝখানে যদি মহল্লার মসজিদ হয়। এবং মসজিদের ভেতর দিয়ে বাজারে গেলে বাসা থেকে বাজারে পৌঁছতে অল্প সময় লাগে। আর রাস্তা দিয়ে গেলে পাঁচ-সাত মিনিট পথ ঘুরে যেতে হয়। তাই তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য মসজিদের ভেতর দিয়ে বাজারে গেলে কি গুনাহ হবে? এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান কী?

ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতে, মসজিদ আল্লাহর ঘর, যা ইবাদত-বন্দেগির জন্য নির্ধারিত। তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মসজিদকে চলাচলের মাধ্যম বানানো (অর্থাৎ পথ বানানো) নাজায়েজ। তাই এ থেকে বিরত থাকা জরুরি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মসজিদকে চলাচলের রাস্তা বানিও না, তাতে ইবাদত ও নামাজের উদ্দেশ্যে গমন ছাড়া। তাই এভাবে মসজিদের ভেতর দিয়ে চলাচল করা বৈধ হবে না। তবে নামাজ বা নফল ইবাদতের জন্য মসজিদে এলে এ পথ ব্যবহার করা যাবে।’

-(আলমুজামুল কাবির : ১৩২১৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৯; আলবাহরুর রায়েক : ২/৩৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১১০; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৫৬)