সংগৃহীত প্রতীকী ছবি

চিরসুখ ও শান্তির আবাস জান্নাত। অগণিত-অসংখ্য মুসলমানের স্থায়ী ঠিকানা। পরকালের পরিধি অনন্ত-অনিঃশেষ। সে হিসেবে জান্নাতের নিবাস চিরস্থায়ী। পার্থিব জীবন নিতান্ত ক্ষণস্থায়ী। তাই স্বল্পসময়ে দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া মুমিনের কাজ।

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন— 

বুদ্ধিমান তো ওই ব্যক্তি যে প্রবৃত্তিকে নিজের মতো করে পরিচালনা করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে।

(রিয়াদুস সালেহিন, হাদিস : ৬৬)

কোরআন-হাদিসের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। আমলের মাধ্যমে সহজেই জান্নাতের পথ সুগম ও মসৃণ করে তোলা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রচুর আমল রয়েছে; তবে আমরা পাঁচটি উল্লেখ করছি।

মা-বাবার সেবা
আল্লাহর রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি’, তিনি আবারও বললেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক।’ তখন কেউ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কে সেই লোক?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতা উভয়কে বার্ধক্য অবস্থায় পেল অথবা তাদের কোনো একজনকে বার্ধক্য অবস্থায় পেল, এরপরও জান্নাত লাভ করতে পারল না— সে ধ্বংস হোক।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৫১)

জ্ঞান অর্জন ও পড়াশোনা

রাসুল (সা.) হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে বের হবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)

মুখ ও গোপনাঙ্গের হেফাজত
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের উভয় ঠোঁটের মাঝের অংশ (জিহ্বা) ও দুই উরুর মাঝের অংশ (লজ্জাস্থান) রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে— আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)

অজু করে দুই রাকাত নামাজ

এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে এবং একাগ্রচিত্তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬৯)

এতিম-অসহায়ের দেখাশোনা
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি ও এতিমের লালনপালনকারী জান্নাতে একসঙ্গে এমনভাবে থাকব— এ কথা বলে তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলকে একত্রিত করে দেখিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৩০৪)