প্রতীকী ছবি

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নামাজ মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জনে সাহায্য করে। পবিত্রতা অর্জনেও সহায়তা করে। দিনে ৫ বার ওজু করার মধ্য দিয়ে মানুষ শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অর্জন করে। বিনম্রচিত্তে সালাত আদায়ের মাধ্যমে অন্তত পাঁচবার আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে।

মনোযোগ ও একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো, যেন তাকে তুমি দেখতে পাচ্ছো। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন।’ -(বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮) নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে তার মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই ইসলাম একে বড় গুনাহ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে চলে যাওয়া ব্যক্তি যদি জানত তার কী পরিমাণ গুনাহ হচ্ছে, তাহলে সে প্রয়োজনে ৪০ (বর্ণনাকারী আবুন নাজার বলেন, ‘আমি জানি না, তিনি ৪০ দিনের কথা বলেছেন, নাকি ৪০ মাসের, নাকি ৪০ বছরের।’) পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকত, তবুও নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করত না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো, বড় মসজিদে নামাজ আদায় করলে এক কাতারের ভেতরে সামনে দিয়ে হাঁটা যাবে না। একইভাবে বড় মাঠে নামাজ আদায় করলেও একই বিধান প্রযোজ্য। যদি ছোট মসজিদে অথবা ছোট ঘরে নামাজ আদায় করে, তবে মসজিদের পশ্চিম দেয়াল পর্যন্ত তার সামনে দিয়ে হাঁটা যাবে না।

নামাজিদের উচিত, মানুষের চলাচলের জায়গায় নামাজ আদায় করতে না দাঁড়ানো। দাঁড়ালেও যেন সুতরা ব্যবহার করে। সুতরা হলো, দৈর্ঘ্যে কমপক্ষে এক হাত ও প্রস্থে কমপক্ষে এক আঙুল বা তার চেয়ে বেশি মোটা কোনো লাঠি সামনে গেড়ে দেওয়া বা দাঁড় করিয়ে দেওয়া। সামনে দিয়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিকে নামাজি ব্যক্তি ইঙ্গিতে কিংবা সুবহানাল্লাহ বলে বারণ করতে পারবে। হাত দিয়ে ধাক্কা দেওয়া উচিত নয়। নারীরা ইশারা করবে বা হাততালি দেবে।

এনটি